মৃত্যুর আগে বড় বোনকে ফোনে যে কথা বলেছিলেন মুনিয়া
রাজধানীর গুলশানে ফ্ল্যাট থেকে সোমবার সন্ধ্যায় মোসারাত জাহান মুনিয়া নামের তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃত্যুর আগের দিন বড় বোনের কাছে ফোন করেন মুনিয়া।
মুনিয়ার ফোন পেয়ে পরদিন ঢাকায় আসেন তার বড় বোন। কিন্তু ঢাকায় এসে ছোট বোনকে জীবিত পাননি তিনি। পেয়েছেন আদরের বোনের ঝুলন্ত লাশ। নিহতের বড় বোন নুসরাত জাহান এ ঘটনায় গুলশান থানায় একটি মামলা করেছেন।
এ ঘটনায় রাত ৩টার দিকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় শিল্প গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে (এমডি) আসামি করে মামলা করেন মুনিয়ার বড় বোন।
এর আগে তিনি জানান, রোববার তাকে ফোন করে ঝামেলায় পড়েছেন বলে জানান মুনিয়া। এরপর সোমবার তিনি ঢাকায় আসেন। সন্ধ্যার দিকে ফ্ল্যাটে গেলে দরজায় ধাক্কাধাক্কি করলেও মুনিয়া দরজা খুলছিলেন না। পরে তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে মুনিয়াকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখেন। বিষয়টি বাড়িওয়ালাকে জানালে তিনি পুলিশে খবর দেন।
নিহত মুনিয়ার বাড়ি কুমিল্লা সদরের দক্ষিণপাড়া উজির দিঘী এলাকায়। তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুর রহমান। মুনিয়া রাজধানীর একটি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার পরিবার গ্রামেই থাকে। তিনি ওই ফ্ল্যাটে একা থাকতেন।
গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, বাসাটির বাড়িওয়ালার কাছ থেকে পাওয়া চুক্তিপত্র অনুযায়ী ফ্ল্যাটটি মার্চ মাসের ১ তারিখে ভাড়া নেন মুনিয়া। ওই বাসায় একাই থাকতেন কলেজছাত্রী।
তিনি জানান, দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় শিল্প গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে মুনিয়ার পরিচয় ছিল। তিনি ওই ফ্ল্যাটে যাতায়াত করতেন বলেও তথ্য পেয়েছেন তারা। শিল্পপতির ওই পরিবারের লোকজনের সঙ্গে মনোমালিন্যের অভিযোগ করেছেন মুনিয়ার বড় বোন।