তীব্র ভূমিকম্পে বাড়ি-ঘর ও রাস্তায় ফাটল!
ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ভারতের উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলা। আজ বুধবার (২৮ এপ্রিল) সকালে কম্পন অনুভূত হয়েছে দক্ষিণবঙ্গেও। রিখটার স্কেলে ভূ’মিক’ম্পের মাত্রা ৬.৪। অসমের গুয়াহাটির কাছে শোনিতপুরে ভূপৃষ্ঠের থেকে ২১.৪ কিলোমিটার নীচে ভূ’মিক’ম্পের উৎসস্থল বলে জানা গিয়েছে।
ভূ’মিক’ম্পের জেরে অ’সমে বেশ কয়েকটি বাড়িতে ফা’টল দেখা দিয়েছে। দ্বিতীয় ক’ম্পনের মাত্রা আরও তীব্র ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। গুয়াহাটি থেকে ১১ কিলোমিটার উত্তর ও উত্তর-পূর্বে এই কম্পনের তীব্রতা বেশি ছিল বলে জানা যায়।আজ সকাল ৭টা ৫১ মিনিটে শোনিতপুরে প্রথম কম্পন অনুভূত হয়।
তার পরে ৭টা ৫৪ মিনিট নাগাদ কম্পন অনুভূত হয় উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং, কালিম্পং প্রভৃতি জেলায়। কেঁ’পে ওঠে পায়ের তলার মাটি। এছাড়া মালদা, মুর্শিদাবাদ ও দক্ষিণবঙ্গের কিছু জেলাতেও কম্পন অনুভব করেন বাসিন্দারা। এমনকি কলকাতাতেও মৃদু কম্পন অনুভূত হয়েছে।
ভূ’মিক’ম্পের আত’ঙ্কে বাড়ি ছেড়ে খোলা আকাশের নীচে চলে আসেন মানুষ। বেশ কিছু জায়গায় বিদ্যুতের খুঁ’টি ভে’ঙে প’ড়েছে বলে জানা যায়। বাড়ি-ঘর ও রাস্তাতেও ফা’টল ধরেছে অনেক জায়গায়। তবে ঠিক কতটা ক্ষ’য়ক্ষ’তি হয়েছে তা এখনও জানা জায়নি। কোচবিহার জেলায় অনেকক্ষন ধরে কম্পন অনুভব করেন বাসিন্দারা। পাশাপাশি বহুতল থেকে ছুটে নামার হি’ড়ি’ক শুরু হয়।
অনেকেই দৌড়ে রাস্তায় ছুটে আসেন। ভবানীগঞ্জ বাজার এলাকায় সাত সকালে বাজার করতে এসে থমকে দা’ড়ান সকলে। যানবাহন চলাচল থম’কে যায় কিছুক্ষনের জন্য। স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আ’তঙ্ক তৈরি হয় আবার আ’ফটার শক অনুভূত হবে কিনা। স্থানীয় মহিলারা অন্ধবিশ্বাস থেকে বি’পদ এ’ড়াতে উলু’ধ্বনি দিতে শুরু করেন।