একে একে বেরিয়ে আসছে আইপিএলে একাধিক খেলোয়াড় আক্রান্তের খবর
অনেকদিন ধরেই সম্ভাবনা ছিল পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) পরিণতি ঘটতে পারে আইপিএলের ভাগ্যে। অবশেষে সেটিই জুটেছে। স্থগিত হয়ে গেছে (পড়ুন এবারের মত বাতিল হয়ে গেছে) আইপিএল। বরুণ চক্রবর্তী ও সন্দীপ ওয়ারিয়র প্রথমে করোনার কবলে পড়েন।
এরপর পাওয়া গেছে প্রায় ডজন খানেক খেলোয়াড় সহ টিম স্টাফদের করোনা আক্রান্তের খবর। এবার সামনে এলো আইপিএল স্থগিত হয়ে যাওয়ার অনেকগুলি কারণের একটি সম্ভাব্য কারণ। জৈব সুরক্ষিত বলয় ঠুনকো কাঁচের পাত্রের মতো ভেঙে পড়ার তথ্য এসেছে গণমাধ্যমে। ভারতীয় মিডিয়া বলছে বায়ো বাবলে থাকা প্লেয়ারদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের জন্য সকলের হাতেই দেয়া হয়েছিল জিপিএস ট্র্যাকার চালিত একটি করে ব্যান্ড। যা সার্বক্ষণিক কব্জিতে বেধে রাখা ছিল বাধ্যতামূলক।
আইপিএল কতৃপক্ষ জানিয়েছিল, জিপিএস ট্র্যাকার চালিত ব্যান্ডটি সকলের গতিবিধির ওপর নজর রাখতে সক্ষম। যেটি যুক্ত করা ছিল ‘বায়ো বাবল’ নামক একটি অ্যাপসের সাথে। সেখানেই জমা হয় সকল প্লেয়ারদের গতিবিধির তথ্য। কিন্তু সেই জিপিএস ট্র্যাক গুলো ছিল একেবারেই নিম্নমানের। একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি সদস্য নির্দিষ্ট কোনও এক জনের তথ্যের জন্য অ্যাপস কতৃপক্ষের স্মরণাপন্ন হয়ে তথ্য জানতে চাইলে সেখানেই বাঁধে বিপত্তি।
জিপিএস ডিভাইস গুলো ছিল একেবারেই নিম্নমানের। সেগুলো ঠিকঠাক কাজ করছিল না। ফ্রাঞ্চাইজি এক শহর থেকে অন্য শহরে চলে গেলেও দেখা যায় যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তা তাঁদের আগের শহরের। ব্যান্ডটি তাঁদের শহর বদলির কোনরকম তথ্য সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হয়।
এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ফ্রাঞ্চাইজিদের একাংশ। ফলে ধারণা করা হচ্ছে ডিভাইসটির যান্ত্রিক ত্রুটির সুযোগ নিয়ে হয়তো বায়ো বাবল ভেঙেছেন কেউকেউ।এরপর প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক সকলের গতিবিধির ওপর ঠিকঠাক নজর না রাখতে পারার জন্যই কি ঘটল এই বিপর্যয়?