‘বাবা বলে পরিচয় দেয় না ছেলে আরভ’, প্রকাশ্যে মুখ খুললেন অভিনেতা অক্ষয় কুমার
বলিউডের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেতা হলেন অক্ষয় কুমার। নব্বই দশক থেকেই এই নায়ক কাঁপিয়ে যাচ্ছে বলিউড, এমনকি বর্তমানেও এই অভিনেতার ক্রেজ একইরকম। বিশেষত এই অভিনেতা বলিউডের ‘স্টান্টহিরো’ বলেই খ্যাত।
মারপিট এই নায়কের একহাতের খেল। তাঁর হাতে নেহাত ছবিরও কমতি নেই, এবং বিজ্ঞাপনেরও। কয়েক দশক ধরে বলিউড কাঁপিয়েও নিজের জায়গা একই স্থানে রেখেছেন অক্ষয় কুমার। নতুনদের ভিড়েও অক্ষয় কুমার আজও হাউজফুল।ইতিমধ্যেই তিনি তাঁর আসন্ন ছবির শুটিং নিয়ে ব্যস্ত। অন্যদিকে অক্ষয় কুমার এবং বিয়ার গ্রিলসের শো ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ড নিয়ে বেশ ব্যস্ত তিনি, যা ইতিমধ্যেই বড়সড় সাড়া ফেলেছে। এই শোতে বলিউডের খিলাড়িকে দেখা যাবে বিভিন্ন রকমের স্টান্ট করতে।
তবে এই শোতে অভিনয়, স্টান্টের পাশাপাশি নিজের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে কিছু কথা ভাগ করে নিলেন বলিউডের খিলাড়ি কুমার। তিনি জানালেন, “অক্ষয় পুত্র আরভের একটি নিজস্ব সত্ত্বা আছে।তিনি কখনোই কাউকে বলেনা যে সে বলিউডের এতবড় একজন অভিনেতার পুত্র। কারণ আরভ কখনোই লাইমলাইটের শীর্ষে থাকা পছন্দই করেননা। তিনি বরাবর বাবার পরিচয়ে পরিচিত হতে চাননা, তিনি মাটির সঙ্গে যুক্ত থাকতে চান,
তাই আমিও এই কারণে আরভকে ভীষণ সম্মান করেন। ও সব সময় চাই ওর নিজের একটা পরিচয় হোক। আমি ওর চাহিদাটা বুঝতে পারি। তাই আমি ওকে ছেড়ে দিয়েছি। ওর মন যা চায় তাই করতে পারে।”আরভের পড়াশোনা বর্তমানে শেষ হয়েছে, তিনি বিদেশে থেকে পড়াশোনা শেষ করছেন।২০০২ সালে টুইংকেল খান্না ও অক্ষয় কুমার জন্ম দেয় আরভের। আরব ছাড়াও তাঁদের রয়েছে একটি সাত বছরের কন্যা সন্তানও, যার নাম নিতারা।
আরাভ সেইসব বলিউড তারকাদের মধ্যে অবস্থান করেন যারা সর্বত্র ক্যামেরার ফ্ল্যাশ থেকে দূরে থাকতেই পছন্দ করেন৷ অক্ষয় এই প্রসঙ্গে আরও বলেন, “পরিবারের সঙ্গে ডিনারে কেন যাইনা, তখন আমার মন ভেঙে যায়।কারণ আমি জানি আমরা ডিনারে গেলেই সেখানে ফটোগ্রাফার থাকবে, আর আমার সন্তানেরা সেগুলো পছন্দ করেননা”এছাড়া ওয়ার্কফ্রন্টের কথা বলতে গিয়ে অক্ষয় জানিয়েছেন, “খুব শিগগিরই দেখা যাবে তাঁকে সূর্যবংশী ছবিতে।
কিন্তু লকডাউন ও থিয়েটার বন্ধ থাকায় এই চলচ্চিত্রটির মুক্তি কিছুদিন স্থগিত করা হয়েছে। পাশাপাশি অক্ষয় বিদেশে তাঁর আসন্ন ছবি বেল বটমের শুটিং নিয়ে ব্যস্ত। যা চলতি বছরেই মুক্তি পাবে।এছাড়া অক্ষয় ছেলের বিষয়ে বলতে গিয়ে জানান, “ছেলের এরকম স্বভাব তাঁর থেকেই পাওয়া। তিনি নিজেকে দেখতে পান তার ছেলের মধ্যে। তাঁরও ছোটবেলায় স্বপ্ন ছিল বাবার পরিচয়ে নয় বড় হয়ে নিজের একটি পরিচয় করবেন তিনি।তাঁর বাবা তাঁকে শিখিয়েছিলেন কিভাবে নিজের জীবনকে নিয়মের মধ্যে দিয়ে নিয়ে যেতে হয়। তাই তাঁর মনে হয় তাঁর সন্তানও সেই পথেই হাঁটছে।”