রচনা ব্যানার্জীর স্বামীকে চেনেন? অভিনেত্রীর কাছের মানুষ সে, জানুন তার পরিচয়!
বাংলা চলচ্চিত্র জগতের একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী হলেন রচনা ব্যানার্জি। তবে, বড় পর্দায় অভিনয় করা ছেড়ে দিয়েছেন বেশ অনেক বছর হল। তবে, সেই অর্থে তাঁর জনপ্রিয়তা কমেনি। বরং বেড়েছে।
কয়েকমাস আগেই ৪৬ এ পা দিয়েছেন তিনি। তবুও তাঁর গ্ল্যামার এতটুকুও কমেনি। বরং এই মুহূর্তে দাঁড়িয়েও তিনি টেক্কা দিতে পারেন এখনকার তাবড় তাবড় অভিনেত্রীদের। বয়সকে তুড়ি মেরে তিনি আজও যুবতী।বিকেল ৫ টা বাজলেই জনপ্রিয় গেম শো ‘ দিদি নাম্বার ওয়ান’ নিয়ে তিনি হাজির হন সকলের ড্রয়িং রুমে। ১০ বছর ধরে তিনি এই শো এর সঙ্গে যুক্ত। তবুও এত টুকু জনপ্রিয়তা কমেনি তাঁর অথবা তাঁর এই শো এর।
মাঝে অনেকে গেছে এসেছে তাঁর জায়গা কেউ নিতে পারেনি। তিনি যতটা এবং যেভাবে মানুষের সঙ্গে মিশতে পারেন তা বোধহয় আর কেউ পারে না। সেলিব্রেটি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সকলেই সঙ্গেই তিনি মিশে যান খুব সহজে।আর তাই তো বাংলার দিদিদের কাছে তিনিই শ্রেষ্ঠ দিদি নাম্বার ওয়ান। সকল দিদিদের ইন্সপিরেশন তিনি।১৯৭৪ সালের ২ অক্টোবর কলকাতায় জন্ম হয় তাঁর। বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান তিনি।
তাঁর আসল নাম ঝুমঝুম ব্যানার্জি। সুখেন দাসের পরিচালনায় ‘দান প্রতিদান’ চলচিত্রে পরিচালক মশাই তাঁর নাম রাখেন রচনা। তবে, কেউ স্বপ্নেও ভাবেনি যে, এই মেয়েই এভাবে রচনা সৃষ্টি করবে। ১৯৯০ সালে তিনি মিস ক্যালকাটা পুরস্কার জেতেন।অভিনয়ে আসার আগে তিনি অনেক সুন্দরী প্রতিযোগিতায় জেতেন।বাংলা ছাড়াও ওড়িশা চলচ্চিত্রের জগতে রচনা নামটি খুবই জনপ্রিয়। অভিনেতা সিদ্ধার্থ মহাপত্র র সঙ্গে ওড়িয়া বহু ছবিতে কাজ করুন অভিনেত্রী।
আর সেই থেকেই তাঁদের মধ্যে প্রেমের সূত্রপাত হয় । কিন্তু তাঁদের সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। আর তারপরই অভিনেত্রী ওড়িশা চলচ্চিত্র জগৎ থেকে সরে আসেন। এরপর অভিনেত্রী প্রবাল বসুকে বিয়ে করেন।তবে, সেই সম্পর্কও একটা সময় পর ইতি টানতে হয়। কিন্তু তাঁদের একটি ছেলে রয়েছে। যার নাম প্রনীল।বাংলা চলচ্চিত্র জগতে রচনা শুধুমাত্র প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এর সঙ্গেই ৩৫ টি ছবিতে কাজ করেন।
এছাড়াও তিনি একটি হিন্দি চলচ্চিত্রে স্বয়ং অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে কাজ করেন। এছাড়া তিনি দক্ষিণ ভারতের ছবিতে উপেন্দ্র ও চিরঞ্জীবের সঙ্গে অভিনয় করেন।আপাতত তিনি অভিনয় জগতের সঙ্গে যুক্ত না থাকলেও ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’ শো তে তাঁর সঞ্চালনা দিয়েই তিনি জয় করে নিয়েছেন আপামর মানুষের মন। সঙ্গে তাঁর ছেলে প্রনীল কে নিয়ে এগিয়ে চলেছে তাঁর জীবন