বাদ দেওয়ার আগে আমাকে সম্মানটুকু দেওয়া উচিত ছিল
দেশের একটি অনলাইন পোর্টালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মাশরাফি আরও বলেন, যোগাযোগ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। মুশফিককে কিপিং করাবেন না, এটা তো ড্রেসিং রুমেই শেষ হওয়া উচিত।
টিভিতে দেখে প্রতিক্রিয়া দেখাবেন কেন? পরে প্রশ্ন করবেন। কিন্তু আগেই যখন বলে দিচ্ছেন, তার মানে আপনি এতই কনফিউজড এবং লোকে সমালোচনা করবে- এই ভ'য়ে আপনি আগে এসেই বলে দিচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, পা'কিস্তান সিরিজে মুশফিককে টি-টোয়েন্টিতে রাখা হলো না। পরে সে বলল যে তাকে জানানো হয়নি, প্রধান নির্বাচক নান্নু ভাই বললেন যে বলা হয়েছে। আমা'র ক্ষেত্রেও এমনটি হয়েছিল। অন্যান্য বোর্ড তো আমা'র চেয়ে হাজারগুণ বড় ক্রিকেটারদের সঙ্গেও ভালো'ভাবে যোগাযোগটা করতে পারছে!
সাবেক এই অধিনায়ক আরও বলেন, ক্রিকেট বোর্ড চাইলেই কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে। দেশের চেয়ে কোনো ক্রিকেটার বড় নয়। যদি কেউ দেশের চেয়ে বড় হয়, তাকে না খেলানোই উচিত। এটা হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কোটি কোটি মানুষ মাশরাফির পক্ষে থাকুক, কিন্তু মাশরাফি যদি মনে করে সে বাংলাদেশ ক্রিকে'টের চেয়ে বড়, তাহলে তাকে বাদ দেওয়া উচিত। কে কী' বলল, সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।
জাতীয় দলের হয়ে ২২০টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে ২৭০ উইকেট শিকার করা এই তারকা পেসার আরও বলেন, ক্রিকেট বোর্ড যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে। কিন্তু যোগাযোগ ঠিক রাখতে পারলে, তারপর কোনো ক্রিকেটার কিছু করলে তাকে বাদ দিন! বাংলাদেশের ক্রিকেট তো এমনিতেই খুঁড়িয়ে যাচ্ছে। তো ওইসব ক্রিকেটার রেখে লাভ নেই। যোগাযোগ ঠিক রেখে যে কোনো অ্যাকশনে যাওয়া যায়, কিন্তু যোগাযোগ ঠিক না রাখলে ওই ক্রিকেটারের প্রতি অন্যায় হয়।
ক্রিকেট থেকে অবসরের আগেই জাতীয় সংসদের সদস্য হয়ে যাওয়া মাশরাফি আরও বলেন, আমাকে যখন বাদ দেওয়া হলো, আমি তা পেশাদারভাবেই নিয়েছি। তারা আমা'র সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। তারপরও আমি ইতিবাচকভাবে নিয়েছি এজন্য যে, আমি বাংলাদেশ ক্রিকে'টের চেয়ে বড় নই। আমা'র দায়িত্ব বাংলাদেশের ক্রিকেট'কে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। দেশের ক্রিকে'টের দায়িত্ব নয় আমাকে টেনে তোলা। তবে দলকে আমি যে সার্ভিস দিয়েছি, বাদ দেওয়ার আগে আমাকে সেই সম্মানটুকু দেওয়া উচিত ছিল। কোনো সিরিজে বিশ্রাম দেওয়া হলেও বলা উচিত।